ফাইল ছবি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আবারও সাশ্রয়ী মূল্যে কথা বলার সুযোগ দিতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে ফিরছে বাংলাদেশের প্রথম সিডিএমএ প্রযুক্তির মোবাইল ফোন অপারেটর সিটিসেল।সম্প্রতি রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সিটিসেলের হেড অফিস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
বিটিআরসিকে পাঠানো চিঠিতে প্যাসিফিক টেলিকম জানায়, তরঙ্গ বন্ধ করায় গত ৮ বছরে ব্যাংক ঋণ, কর্মচারীদের বকেয়া, অবকাঠামোর ক্ষতি–সবমিলিয়ে তাদের প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ৮ বছর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় সম্ভব হয়নি। এতে সরকার প্রায় ৪৩০ কোটি টাকা কর ও ফি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তারা এখন লাইসেন্স বাতিলের জন্য জারি করা পত্রের প্রত্যাহার চায়। পাশাপাশি প্রযুক্তি নিরপেক্ষ লাইসেন্স চায়, যাতে ফাইভজিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তারা এজন্য অর্থ পরিশোধ করবে, তবে তা রাজস্ব আদায়ের পর।
সিটিসেলের চিফ স্ট্রেটিজিক অ্যাডভাইজার মেহবুব চৌধুরী জানান, তারা কোন কিছু আইনের বাইরে যেয়ে করেননি। সিটিসেলের ফ্রিকুয়েন্সি পাওয়ার কথা ছিল ১০ মেগা হার্জ, তাদের লাইসেন্সেও তাই ছিল। তবে অনুমোদনের কাগজে তারা ফ্রিকোয়েন্সি পান রিজোনাল ৬ মেগা হার্জ, আর ঢাকায় ৮ দশমিক ৮২ মেগা হার্জ।
তিনি জানান, লাইসেন্স পাওয়ার পর তারা বিটিসিএল অফিসে গেলে তারা বলে আপনার এই মেগা হার্জই পাবেন। অথচ সিটিসেল ১০ মেগা হার্জের টাকাই পরিশোধ করে সরকারকে। তারা দ্বিতীয়বারের মতো সিটিসেলকে কোনো সুযোগই দেয়নি। কম ফ্রিকোয়েন্সি দিয়ে ১০০ কোটির বেশি টাকা পাওনা করা হয়েছিল তাদের কাছে। সেই টাকা পরিশোধ না করায় এই টেলিকম কোম্পানিটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. এমদাদ উল বারী বলেন, সিটিসেল আবেদন করেছে। আমারা তাদের সঙ্গে বসব। তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।