কুষ্টিয়ায় খামারিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে র দিকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় ফরিদা আখতার বলেন, কেউ বললেন না তামাকের কথা। এই সভার পরেই দৌলতপুর উপজেলায় যাব। আমার তো মনে হয়, সেখানে তামাক ছাড়া কিছুই দেখব না। গবাদিপশু পালনের ক্ষেত্রে তামাক চাষ বড় বাধা। ধীরে ধীরে তামাক চাষ বন্ধ করে আমাদের খাদ্য উৎপাদনে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মসুর, সরিষা অনেক কিছু হতে পারত। সেগুলো না করে পুরো এলাকাকে বিষাক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। কেমন করে গরু ছাগল পালন করবেন? আসলে তামাক পাতা তো একটা বিষ, নিকোটিন। তাহলে সেই নিকোটিন বিষ আমরা উৎপাদন করছি। যার ফলে গরু-ছাগল উৎপাদন অনেক কমে গেছে। হাঁস, মুরগি পালনের জায়গা নেই।
গবাদিপশুর ওষুধ অনেক সময় নিরাপদ না মন্তব্য করে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘কোম্পানিগুলো অনিয়ন্ত্রিতভাবে অনেক সময় কাজ করে। বিশেষ করে ওষুধের গায়ে যে দাম লেখা থাকে, তার থেকে বেশি দামে বিক্রি করে। এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষের ওষুধের ক্ষেত্রে অন্যায় করলে যে ধরনের অপরাধ হয়, প্রাণীর ওষুধের ক্ষেত্রেও সমান অপরাধ।’
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আয়োজনে মতবিনিময় সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খামারিরা উপস্থিত ছিলেন। উপদেষ্টা ফরিদা আখতার তাঁদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সভায় কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল ওয়াদুদ, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানসহ জেলা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।